রমজানের রোজা মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা এ ইবাদতকে যুগে যুগে সব জাতির ওপরই ফরজ করেছিলেন। আর এ রোজার মাধ্যমেই মানুষ তাকওয়াবান হবে।
সূর্যোদয়ের আগে (ভোর রাত) থেকে সূর্য ডোবা (সন্ধ্যা) পর্যন্ত নিয়তসহ খাওয়া-পান করা এবং স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে সিয়াম বা রোজা। চলুন জেনে নেয়া যাক যেসব কাজ করলে রোজা ভেঙে যাবে-
ইচ্ছা করে কেউ যদি এ সাতটি কাজ করে তবে তাদের রোজা ভেঙে যাবে। আর এ কাজে ওই ব্যক্তির জন্য রোজার কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে। রোজার কাফফারা হলো- একটি রোজার জন্য লাগাতার ৬০টি রোজা রাখতে হবে। এর মধ্যে যদি কেউ রোজা ভেঙে ফেলে তবে তাকে পুনরায় আবার ৬০টি রোজা রাখা শুরু করতে হবে।
কেউ যদি ইচ্ছা করে একটা রোজা ভেঙে ফেলেন কিন্তু এখন একাধারে ৬০টি রোজা রাখা সম্ভব নয়; অসুস্থ। তবে তার কী করণীয়? সে ক্ষেত্রে কাফফারা হলো- ৬০ জন মিসকিনকে একবেলা খাবার খাওয়াবে। আর তাতে ওই ব্যক্তির রোজার কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।
একটা কথা মনে রাখতে হবে- রমজানের রোজা পালনের যে মর্যাদা ও ফজিলত। কাফফারা আদায়কালে সে রোজার মর্যাদা ও ফজিলত রমজানের রোজার মতো নয়। তাই ইচ্ছা করে রমজানের রোজা ভেঙে ফেলার কোনো সুযোগই নেই। এ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি। আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে রোজার সময় বিশেষ করে রমজানের দিনের বেলায় উল্লিখিত ৭টি কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩ |
Copyright © 2024 দৈনিক জনতার কন্ঠ. All rights reserved.