রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার তদারকি করবে এফবিসিসিআই

ছবি: সংগৃহীত

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৪৬ সদস্যবিশিষ্ট বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা সরকারনির্ধারিত ৪৬টি পণ্য বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে কি না, তা তদারকি করবে।’

শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে আয়োজিত পণ্যসামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।

দেশে পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ থাকায় রমজানে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ না নিতে পারেন, এ জন্য নিয়মিত বাজার তদারকি জোরদারের পরামর্শ দেন তারা।

বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সারা বিশ্বে উৎসব সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম কমান। বাংলাদেশেও এমন সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই। ব্যবসায়ীদের অনেক বদনাম হয়েছে। এটা ঘোচাতে চাই। এ জন্য আমি বারবার সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করছি, যাতে ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের অসাধু বলার সুযোগ কেউ না পায়।’

বিশ্ববাজারে বিভিন্ন কাঁচামাল ও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে মো. জসিম উদ্দিন সরকারের কাছে কর ও শুল্কহার সমন্বয় করার দাবি জানান। তিনি বলেন, যেহেতু পণ্যের দাম ও শিপিং খরচ বেড়েছে, তাই শুল্ক এবং করহার কমালেও সরকারের রাজস্বের ঘাটতি হবে না। বরং সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়া যাবে।

মতবিনিময় সভায় টিকে গ্রুপের পরিচালক সফিউল আতহার তাসলিম বলেন, গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে গোটা ব্যবসায়ী সমাজকে দায় নিতে হচ্ছে। তবে রোজায় বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। মিল মালিকদের কাছে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে এবং বাজারেও সরবরাহ ঘাটতি হবে না।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বশির উদ্দিন বলেন, সরবরাহ ঠিক থাকলে বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে। একই আশ্বাস দেন বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা।

এ সময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও খুচরায় মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ চাঁদাবাজি। এটা বন্ধ করতে হবে। খুচরা ব্যবসায়ীরা কে কত লাভ করতে পারবেন, তারও একটা ধারণা থাকা উচিত।

সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, সাবেক সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, পরিচালক রেজাউল করিম, হারুন অর রশীদ, আনোয়ার সাদাত সরকার, এম জি আর নাসির মজুমদার, তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান, আবু হোসাইন ভূঁইয়া, নাদিয়া বিনতে আমিন, জোশদা জীবন দেবনাথ, তাহমিন আহমেদ, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল প্রমুখ।