যুদ্ধের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারও সাথে যুদ্ধ করতে চাই না, যুদ্ধ করবও না। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে, কখনও যদি বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়; আমরা যেন তা প্রতিরোধ করতে পারি এবং আমরা যেন আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি।

আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শরীয়তপুরে জাজিরা সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত, প্রশিক্ষিত ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে এরই মধ্যে আমরা ন্যাশনাল ডিফেন্স মেডিকেল কলেজ, মিলিটারি ইনিসটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাধি ক্রয় করেছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই পররাষ্ট্রনীতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রজ্ঞা, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যপরায়ণতা দিয়ে আমাদের দেশের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট দুই ভাই (শেখ কামাল ও শেখ জামাল) সেনাবাহিনীতে ছিল। ছোট ভাই রাসেলেরও ইচ্ছা ছিল আর্মি অফিসার হবে, হতে পারেনি। আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, তার নামে সেনানিবাস করায়। এর মধ্য দিয়ে রাসেলের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ না হলেও নামটা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকলো।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে না বলে ঘোষণা দেয়। আমরাও নিয়েছি চ্যালেঞ্জ। কারণ জাতির পিতা বলে গেছেন, ‘বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’ আসলেই দাবায়ে রাখতে পারে নাই। আমরা যদি ইচ্ছা করি অসাধ্যকে সাধন সম্ভব।