মধ্য রাতে অন্যের স্ত্রীর ঘরে ছেলে; লজ্জায় বাবার আত্মহত্যা

ক্রাইম ডেস্ক :  রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে মধ্য রাতে একা থাকা গৃহবধূর ঘরে ঢোকার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মাসখানেক ধরে এলাকায় বিচার সালিসের প্রক্রিয়া চলছে। তবে তিনি বিচার মানতে রাজি হয়নি। সেই ক্ষোভে ও লজ্জায় বাবা আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে স্থানীয় ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে নিজ বাড়ির পেছনে গাছের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ছেলেটির বাবা। নিহত ব্যক্তি উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব নয়ারহাট গ্রামের মৃত লাল চাঁদ শেখের ছেলে ফুল চাঁন।

জানা গেছে, ফুল চাঁন মিয়ার বিবাহিত ছোট ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৪) সম্প্রতি গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী মানিক মিয়ার বাড়ির এক নববধূর ঘরে প্রবেশ করেন। ওই নববধূর স্বামী ঢাকায় থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যান। এ নিয়ে সালিস বৈঠকের নামে দীর্ঘ এক মাস ধরে দেনদরবার চললেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি সমাধান করে দেবেন বলেন জানান। পরে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে এলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এদিকে গত সোমবার উভয় ঘটনা নিয়ে সালিস বৈঠকে বসার কথা থাকলেও শহিদুল ইসলাম তা না মানার ঘোষণা দিলে বাবা ফুল চাঁন মিয়া স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চান এবং তার ছেলে বিচার মানতে নারাজ বলেন জানান।

এ নিয়ে ক্ষোভে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ভোরে বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফুল চাঁন মিয়া। পরে সকালে তার মরদেহ নামিয়ে বাড়িতে রাখা হয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয় পুলিশ।

পীরগাছা থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, চাঁন মিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।