শ্বশুরের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ২০ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন শশুরের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূ পাশ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শাল্টিমুরাদপুর গ্রামের মসফিকুর রহমানের দ্বিতীয় মেয়ে। সোমবার (২৮ মার্চ) উপজেলার পালশা ইউপির পালশা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় শশুর লুৎফর রহমান (৪৭)। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এজাহার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহবধূর বাবা মসফিকুর রহমান।

ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, গত ২০১৯ সালে ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আজিজুল ইসলামের সাথে আমার বিয়ে হয়। সোমবার সকালে আমার স্বামী কাজে বাহিরে যায় এবং আমার শাশুড়ি টিকা নেওয়ার জন্য গিয়েছিল।

বাড়ি কেও না থাকায় আমার শশুর বাড়ির দুটি দরজা বন্ধ করে আমার হাত ধরে ঘরের ভিতরে নিয়ে যায় এবং অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে। আমি তাকে অনেক ভাবে মিনতি করি আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সে আমাকে ছেড়ে না দেওয়ায় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং আমার শশুর পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমার শশুর দুইবার আমার সাথে এরুপ আচরণ করেছে। আমি আমার স্বামী এবং শাশুড়িকে বিষয়টি একাধিকবার বলেছি। কিন্তু তারা বিশ্বাস করেনি। গৃহবধূ চিৎকার করলে পাশ্ববর্তী কাজলী বেগম নামের এক নারী সেখানে এগিয়ে আসেন। সম্পর্কে ওই গৃহবধূর প্রতিবেশী ভাসুরের স্ত্রী হন তিনি। তিনি বলেন, আমি চিৎকার শুনে দরজায় এসে দেখি, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তখন জানালার কাছে গিয়ে

দেখি তার শশুর তার হাত ধরে টানাটানি করছে এবং সে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে আকুতি জানাচ্ছে। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, কিছুক্ষণ আগে মুঠোফোনে শুনলাম ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার পরিবারের সাথে থানায় আসছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।