জেতার জন্যই খেলব : মুমিনুল

নিজেদের মাটিতে বরাবরই পরাশক্তি হিসেবে খেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ডও ভালো না। তবে, রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড করতে জানে বাংলাদেশ। যার প্রমাণ তারা দিয়েছে ওয়ান ডে সিরিজ জিতেই। টানা ১৯ ম্যাচ হারের পর এই সিরিজ জিতে নতুন করে ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ।

তাইতো এবার ওয়ানডের পর টেস্টেও জেতার আশা টাইগারদের। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা ৬ টেস্টের পাঁচটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। অন্যটিতেও হার ৩৩৩ রানের। তবুও এবার জেতার জন্যই মাঠে নামবে টাইগাররা, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক।

ডারবানে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ২টায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে কাপ্তান মুমিনুল বলেন, ‘আমি তো সবসময় বলি, যখন খেলি তখন জেতার জন্যই খেলি। অবশ্যই ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব।’

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বেশি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ জয় উল্লেখ করে মুমিনুল বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই আছে। আপনি যখন বিদেশের কন্ডিশনে দুটি সিরিজ খেলতে আসবেন, একটি সিরিজ জিতে গেলে আত্মবিশ্বাস সবার তুঙ্গে থাকে।’

তবে জেতার জন্য সঠিক নিয়ম মেনেই খেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের আগে কিছু কাজ থাকে, যেগুলো করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা। লক্ষ্য অবশ্যই ম্যাচ জেতা, ভালো ক্রিকেট খেলা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রক্রিয়া ধরে রাখা। পাঁচ দিন আমরা যদি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’

এদিকে আইপিএলের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটার খেলছেন না টেস্ট সিরিজ। প্রোটিয়া দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলতে আছেন ডিন এলগার, টেম্বা বাভুমা ও কেশব মহারাজ। বাকীরা নতুন। সেই হিসেবে অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে তাদের মাঠে। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক ভাবছেন, মাঠে চাপ সামলিয়ে যে দল ভালো খেলতে পারবে তারাই জিতবে ম্যাচটি।

টাইগার টেস্ট অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘অভিজ্ঞতার দিক থেকে হয়তো আমরা বাড়তি সুবিধা পেতে পারি। তবে ওদেরও কিন্তু সুবিধা থাকবে। কারণ ঘরের মাঠের সুবিধা ওরা পাবে। সুবিধা ওরাও পাবে, আমরাও পাব। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, পাঁচদিন ১৫টা সেশন যারা ভালো ক্রিকেট খেলবে, চাপ ধরে রাখতে পারবে, ভালো জায়গায় বল করতে পারবে, ব্যাটিং ভালো করতে পারবে, তারাই ম্যাচটা জিততে পারবে। এখানে চাপের ব্যাপারগুলো ধরে রাখা জরুরি, কীভাবে সাড়া দিচ্ছেন, কীভাবে ব্যাটিং-বোলিং করছেন।’

এদিকে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা টাইগারদের কোচিং প্যানেল। যার বেশিরভাগই দক্ষিণ আফ্রিকার। মুমিনুলও মানছেন এটা তাদের জন্যও ইতিবাচক।

মুমিনুল বলেন, ‘কোনো দেশের বিপক্ষে খেললে ওই দেশের কোচিং স্টাফ যখন থাকবে, এটা অবশ্যই আপনার জন্য ইতিবাচক। কন্ডিশন কেমন, কীভাবে ব্যাটিং-বোলিং করতে হয়, এগুলোর ধারণা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়। এটা অবশ্যই বাড়তি সাপোর্ট দেবে সবাইকে।’