ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি বেড়েছে ইমরান খানের

প্রতি মুহুর্তে নতুন নতুন নাটকীয়তায় উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে পাকিস্তানের রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট সরকার থেকে একের পর এক দল সমর্থন তুলে নেয়ায় ইমরান খানের ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি বেড়েছে; এমনটা দাবি করা হচ্ছে দেশটির ও একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

তবে, অভাবনীয় কোনো ঘটনার অপেক্ষায় থাকা ইমরান খানের দাবি, বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ থাকার কথাও জানিয়েছেন ইমরান খান।

গত সোমবার (২৮ মার্চ) ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয় পার্লামেন্টে। কিন্তু পাল্টা সমাবেশ করে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।

এর একদিন পরেই বুধবারে পিটিআই নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যায় শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট। এরপর আরও তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনার পারদ। একই সিদ্ধান্ত নেয় বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি। জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন ইমরানের মিত্র জামহুরি ওয়াতন পার্টি প্রধান শাহজাইন বুগতিও।

দুই দলে ১২ এমপির সমর্থন হারিয়ে পার্লামেন্টে ইমরানের জোটের আসন এখন ১৬৪। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে এমপির সংখ্যা ১৭৭। অথচ সরকার উৎখাতে প্রয়োজন ১৭২ জনের সমর্থন। এমনকি পিটিআই থেকেও এমপি ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

অনড় ইমরান অপেক্ষা করতে চান অনাস্থা ভোট পর্যন্ত। তাই শেষ মুহুর্তে নাটকীয় পরিবর্তনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। এরইমধ্যে সেনাপ্রধান এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। গণমাধ্যমে ইমরানের অভিযোগ, পশ্চিমা ষড়যন্ত্রেই তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ইমরান খানের দাবি, এই সংকটতো বিদেশি শক্তির সৃষ্টি করা। অনাস্থা ভোট গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু এটা নিয়ে অস্থিতিশীলতা উসকে দিচ্ছে বিদেশি শক্তি। ওই শক্তি চায় আমরা সারাজীবন পশ্চিমা শক্তির অনুগত হয়ে থাকি। এই ষড়যন্ত্রের পক্ষে আমার কাছে তথ্য আছে, সেগুলো আমি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের দেখাবো।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটেছে বারবার। ভোটের মাধ্যমে দেশটিতে ক্ষমতা হস্তান্তর হয় মাত্র একবার। বেসামরিক কোনো সরকারই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।